WHY WE?
DREAM DU ADMISSION HOSTEL
এটি মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থীদের একটি আন্তরিক প্রয়াস ।
নিজেরা যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হয়েছি , তা থেকে এলাকার ছোট ভাই বোনদের দূরে রাখতেই
আমাদের এই উদ্যোগ ।
হ্যাঁ , এর পাশাপাশি একটু সামাজিক ব্যবসাও যে নেই তা নয় । সামাজিক ব্যবসা বলছি
, কারণ এর
মুনাফার একটি অংশ । আমরা দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বৃত্তি হিসেবে প্রদান করি ।
Dream Du Admission Hostel ? টাকা দিয়ে থাকবেন
, তবে কেন আমাদের হোস্টেলে ?
অন্য হোস্টেলে কেন নয়
?
কারণ, আমরা বিশেষ কিছু সেবা দেওয়ার চেষ্ট করি
, যা অন্য কোথাও নেই ।
সার্বক্ষণিক পরিচর্যাঃ
আমাদের হোস্টেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দ্বারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং
করা হয় । পড়াশোনা থেকে শুরু করে সকল বিষয়ের ওপর পর্যবেক্ষণ করা হয় । ভর্তিযুদ্ধ হচ্ছে
জীবনের একটি অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট । পরিকল্পনা ও গাইডলাইনের অভাবে অনেকেই সামর্থ্য
থাকা সত্ত্বেও এ যুদ্ধে জয়ী হতে পারে না । আমাদের হোস্টেলে সার্বক্ষণিক স্টুডেন্টদের পাশে থেকে
তাদের পড়াশোনা,
লক্ষ্য নির্ধারণ
, পরামর্শ প্রদান ও পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে ভর্তিযুদ্ধের জন্য
তৈরি করা হয় । এছাড়াও সকল সমস্যা আন্তরিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হয়।
অভিজ্ঞ টিউটর দ্বারা পাঠদানঃ
অতিরিক্ত ক্লাস হিসেবে ঘরোয়া পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
বিভিন্ন বিভাগের প্রথম ও অভিজ্ঞ এবং বিগত বছরের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্তদের
দ্বারা নিয়মিত পাঠদান করানো হয় । বিষয়ভিত্তিক আলাদা অভিজ্ঞ টিউটর দ্বারা পাঠদান ও
পরামর্শসহ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয় ।
সাপ্তাহিক পরীক্ষা ও মূল্যায়নঃ
প্রয়োজনীয় পাঠদানের পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহে বিষয়ভিত্তিক
আলাদা পরীক্ষা নেয়া হয় ও ফলাফল মূল্যায়ন করা হয় । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় । ও দেশসেরা বিভিন্ন
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপদ্ধতির সমন্বয়ে স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হয় এবং ফলাফল মূল্যায়নের
পর দূর্বল দিকগুলো নিয়ে আলোচনা ও পরামর্শ প্রদান করা হয় ।
কাউন্সেলিং ও বিশেষ ক্লাসঃ
অত্যন্ত মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও অনেকেই সঠিক সিদ্ধান্ত
, লক্ষ্য
নির্ধারণ ও সঠিক পরিচর্যার অভাবে ভালো জায়গায় চান্স পেতে ব্যর্থ হয় । আমাদের হোস্টেলে
পড়াশোনার পাশাপাশি বিশেষ কাউন্সেলিং ও মোটিভেশনাল ক্লাস নেয়া হয় । এছাড়াও পিছিয়ে পড়া
ও কম জিপিএ প্রাপ্ত স্টুডেন্টদের আলাদাভাবে পরিচর্যা ও বিশেষ । সলভ ক্লাস নেয়া হয় ।
পুষ্টিকর খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাঃ
ঢাকা শহরের নাম শুনলেই আমাদের প্রথম যে সমস্যার
কথা মনে হয় তা হল বিশুদ্ধ পানির সমস্যা । আর বেশিরভাগ শিক্ষার্থী যারা গ্রাম থেকে প্রথম ঢাকায়
আসে
, তারা পানি ও খাবারের সমস্যার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে । যা পড়াশোনায় ব্যঘাত ঘটায় ।
কিন্তু আমাদের হোস্টেলে বিশুদ্ধ পানি ও নিয়মিত রুটিনমাফিক পুষ্টিকর খাবারের নিশ্চয়তা প্রদান
করা হয় ।
মনোরম ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশঃ
ঢাকা শহর মানেই আমরা বুঝি যানজট
কোলাহলময় পরিবেশ । কিন্তু আমাদের হোস্টেল অর্থাৎ মোহাম্মদপুর সম্পূর্ণ ভিন্ন । যান্ত্রিকতা
ছাপিয়ে এখানে রয়েছে পড়াশোনার জন্য মনোরম ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ।
কঠোর বিধিনিষেধ ও নিয়ন্ত্রণঃ
পড়াশোনা ও দৈনন্দিন জীবনযাপনে শৃঙ্খলা আর কঠোর
বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় এবং তা যথাযথভাবে পালনে বাধ্য করা হয় । ফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হয় ।
একঘেয়েমিতা দুরীকরণঃ
পড়াশোনায় একঘেয়েমিতা ও মানসিক চাপ দূরীকরণের জন্য মাঝে
মাঝেই ঢাকা ও এর আশেপাশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং দর্শনীয় স্থানসমূহে ঘরতে নিয়ে যাওয়া
হয় । এতে করে পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ঘুরতে যাওয়ার ফলে
তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার স্পৃহাও বৃদ্ধি পায় । এছাড়াও মাঝে মাঝে সিলেবাসভুক্ত
পড়াশোনার ওপর কুইজ প্রতিযোগিতা , পুরষ্কার এবং সাংস্কৃতিক আড্ডার মাধ্যমে স্টুডেন্টদের
একঘেয়েমিতা দূর করা হয় ।
ফার্মগেট নয়
, কেন মোহাম্মদপুর
?
ফার্মগেটে - অসুবিধা ঃ
১ . অতিরিক্ত ফি
, জীবন নির্বাহের অতিরিক্ত ব্যয়ের ফলে অতিরিক্ত পারিবারিক চাপ ।
২ . হোস্টেল বা মেসে থাকার দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা ।
৩ , অতিরিক্ত যানজট
, কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ ।
৪ . শব্দদূষণ ।
৫ . টাইফয়েড , ডেঙ্গু জ্বর ও জন্ডিসের মতো রোগে আক্রান্ত হবার প্রবণতা বেশি ।
৬ . অবাধ স্বাধীনতা
, বন্ধুত্বের অগাধ চাহিদা
, ভরাডুবির প্রশস্ত পথ ।
মোহাম্মদপুরে ( আমাদের হোস্টেলে) ঃ
১
. সুন্দর ও স্বাভাবিক পরিবেশ ।
২ . শান্ত , স্নিগ্ধ
, নিশ্চিন্ত জীবন ও নিশ্চিন্ত পড়াশোনা ।
৩ . সীমিত ব্যয়
, ভারসাম্যপূর্ণ সাবলীল মনোরম পারিবারিক পরিবেশ ।
৪ . বাসার মতো আরামদায়ক জীবন
- যাপন ।
৫ . মোবাইল ফোনের সীমিত ব্যবহার ।
৬ . স্নেহ ও ভালোবাসাপূর্ণ অনুশাসন
, নিশ্চিন্ত সাফল্য ।
৭ . সার্বক্ষণিক নজরদারি ।
অতিরিক্ত পড়াশোনার চাপে একঘেয়েমিতা চলে আসে । ঠিক তখনি আমরা বিভিন্ন পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে নিয়ে যাই । দেখানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ , দেখানো হয় স্বপ্ন । যা
পড়াশোনার গতিকে দেয় নতুন মাত্রা । ভর্তি পরীক্ষার আগে ফর্ম ফিলআপ সহ যাবতীয় কাজে
সহযোগিতা করা হয় এবং পরীক্ষার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থাসহ
পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় । যা অন্য কোথাও হয় কিনা আমাদের
জানা নেই । স্বাস্থ্যসম্মত খাবার প্রদান ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা
, টিউশন এর ব্যবস্থা
, Scholarship
প্রদান , নিয়মিত কাউন্সেলিং
, কার্যকরী । গাইডলাইন
, প্রত্যেকের প্রস্তুতি বিষয়ক সমস্যা নিরূপণ ও
তার আন্তরিক সমাধান
; যা অন্য হোস্টেলে কখনোই সম্ভব নয় ।